Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪,

ভৈরবে মাদক অধিদপ্তর কার্যালয়ে আগুনের ঘটনায় আটক ১

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০, ১০:৫৯ এএম


ভৈরবে মাদক অধিদপ্তর কার্যালয়ে আগুনের ঘটনায় আটক ১

ভৈরবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ সার্কেল অফিস আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার মামলায় মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারি মোস্তাক মিয়া নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত মোস্তাক মিয়া আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধী দেওয়ার পর তাকে কিশোরগঞ্জ জেলা হাজতে প্রেরণ করেছে।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত মোস্তাক মিয়া মাদক সেবনকারি ও তার নামে ভৈরব থানায় ১টি মাদকের মামলা রয়েছে। সে আমলা পাড়া গ্রামের জজ মিয়ার পুত্র। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ভৈরব সার্কেল অফিসটি তার এলাকায় অবস্থিত।

এ সুবাধে মোস্তাক তার সহযোগী আরো ৩ জন মাদক কারবারিদের নিয়ে গত ২০ জানুয়ারি দিবাগত রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের গেইটের তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে অফিসের কম্পিউটার, মামলার নথিপত্র ও মাদক ব্যবসায়ীদেও তালিকাসহ মূল্যবান আসবাবপত্র পুড়ে যায়।

খবর পেয়ে ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ১ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। কিন্ত অফিসের ভিতরে কেউ না থাকায় প্রাণে বেচেঁ যায় কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ভৈরব সার্কেল অফিসের পরিদর্শক মো. মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে বুধবার দুপুরে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে ভৈরব থানায় মামলা দায়ের করেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কিশোরগঞ্জ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের উপ-পরিচালক তৌহিদ হাবিব ইমাম, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. ফজলুর রহমান। পরে সিআইডি ও ডিজিএফআইসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেন।

ভৈরব থানার ওসি মো. শাহিন জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার মামলায় মোস্তাক মিয়া নামে ১ জন মাদকসেবী ও মামলার আসামিকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। সে কিশোরগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট রফিকুল বারির আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধী দিয়েছে।

তিনি আরো জানান, অফিসে আগুন দেওয়ার রাতে অফিসের সামনের সড়কে ওয়াজমাহফিল চলছিল। তাই মাইকের শব্দে কেউ বুঝতে না পারায় এ সুযোগটি কাজে লাগিয়ে আগন ধরিয়ে দেয়। তারা প্রথমে অফিসের কর্মকর্তাদের মেরে ফেলার টার্গেট করে। পরে পরিকল্পনা থেকে সরে এসে রাতের আধারেঁ অফিসের তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেয়। তার সাথে আরো ৩ মাদক ব্যবসায়ী ছিল তারা ৪ জনে মিলে এ ন্যাক্কারজনক কাজ করেছে বলেও আদালতে জবানবন্ধী দিয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ভৈরব সার্কেলের পরিদর্শক জানান, আগুনে মামলার নথিপত্রসহ বিভিন্ন আলামত ও আসবাবপত্র পুড়ে গেলেও মামলা পরিচালনা কার্যক্রমে সমস্যা হবে না। তবে মাদক নিমূর্লে তাদের অভিযান চলমান আছে। অফিস আগুনে পুড়ে দেওয়ায় অফিসের কার্যক্রম খোলা আকাশের নীচে সাময়িকভাবে চলছে।

আমারসংবাদ/কেএস