Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪,

গর্ভবতীর শ্লীলতাহানি করা সেই মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট গ্রেপ্তার

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি

জুন ১, ২০২০, ০৮:৪৪ এএম


গর্ভবতীর শ্লীলতাহানি করা সেই মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট গ্রেপ্তার

গর্ভবতী এক গৃহবধুকে (২৫) গর্ভকালীন টিকা দেওয়ার সময় শ্লীলতাহানি করার অপরাধে কাজী আবু বক্কার সিদ্দিক নামের এক মেডিকেল টেকনোলজিষ্টকে গ্রেপ্তার করেছে গুরুদাসপুর থানা পুলিশ।

ভুক্তভোগি ওই নারীর স্বামীর দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে রোববার (৩১ মে) রাত আটটার দিকে নাটোর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযুক্ত আবু বক্কার সিদ্দিক গুরুাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট পদে চাকরি করছিলেন। নাটোর জেলা সদরের বাসিন্দা তিনি।

এর আগে বহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গর্ভকালিন টিকা নিতে এলে ওই নারীকে শ্লীলতাহানি করেন লম্পট আবু বক্কার সিদ্দিক (৪৫)। এঘটনায় ভুক্তভোগি ওই গৃহবধূর স্বামী গুরুদাসপুর থানায় মামলা দায়ের করে ছিলেন।

শ্লীলতাহানির শিকার ওই গৃহবধূ অভিযোগ করেন- বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি স্বামীর সঙ্গে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গর্ভকালিন টিকা নিতে আসেন। এসময় অভিযুক্ত আবু বক্কর সিদ্দিক তার স্বামীকে কৌশলে বের করে দেন। টিকা দেওয়ার নামে ওই মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। এসময় তাকে কুপ্রস্তাবও দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তিনি চিকিৎসা না নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে আসেন।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক জানান, আবু বক্কার সিদ্দিক নামের ওই মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট প্রায় তিন বছর আগে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন। এরপর থেকেই বিভিন্ন সময়ে তার বিরুদ্ধে নারী কেলঙ্কারীসহ বিভিন্ন ধরণের অভিযোগ রয়েছে। তিনি হাসপালের এক নারী মেডিকেল অফিসারকেও যৌন হয়রানী করেছেন। সেই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।

ওই গৃহবধুর স্বামী অভিযোগ করেন, চিকিৎসা না নিয়েই তার স্ত্রী কাঁদতে কাঁদতে ওই মেডিকেল টেকনোলজিষ্টের কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন। বাড়ি ফিরে তার স্ত্রী বিষয়টি পরিবারের লোকজনের কাছে খুলে বলেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লিখিত অভিযোগ ও থানায় মামলা করে ছিলেন।

অভিযুক্ত মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট আবু বক্কর বলেন, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা কুৎসা রটানো হচ্ছে। তিনি কোন নারী কেলেঙ্কারীর সাথে জড়িত নন।

শ্লীলতাহানির সতত্যা নিশ্চিত করে আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. রবিউল করিম শান্ত বলেন, ওই ঘটনায় তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষ হলে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হবে।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোজাহারুল ইসলাম বলেন, শ্লীলতাহানির বিষয়ে ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী থানায় মামলা দায়ের করে ছিলেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ রোববার কৌশলে আবু বক্করকে গ্রেপ্তার করে। সোমাবার (১ জুন) তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাযতে পাঠানো হয়েছে।

আমারসংবাদ/কেএস