Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪,

পানি বণ্টনের সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ-ভারত সম্মত

আমার সংবাদ ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০, ০১:১২ পিএম


পানি বণ্টনের সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ-ভারত সম্মত

অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের সমস্যা সমাধান এবং সীমান্ত হত্যাকে শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসতে বাংলাদেশ ও ভারত সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ-ভারত ৬ষ্ঠ যৌথ পরামর্শক কমিশনের (জেসিসি) বৈঠকের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে তিস্তা নদীর পানিবণ্টন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিস্তা চুক্তির সমাধান হবে। ন্যায্যতার ভিত্তিতে তিস্তাসহ সাতটি নদীর পানিবণ্টন শিগগিরই হবে।

তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তিটি হয়ে যাওয়ার কথা ছিল সেই ২০১১ সালে। সে সময়ের ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরে চুক্তি সইয়ের বিষয়টি চূড়ান্তও ছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আপত্তিতে শেষ মুহূর্তে আটকে যায়। সেই মমতাই এখনো বাধা হয়ে আছেন। তাকে বাগে আনতে পারেননি মোদিও।

বাংলাদেশ ও ভারতের আন্তর্জাতিক সীমান্তে মৃত্যু নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, উভয়পক্ষই রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের উৎপত্তিস্থলে স্থায়ী প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা করেছে।

ভার্চুয়াল এ বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন আর ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

করোনার মহামারির কারণে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এয়ার বাবল ও বন্ধ থাকা উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মোমেন বলেন, করোনার জন্য উভয় দেশের মধ্যে যোগাযোগ বন্ধ থাকায় আমরা ভারতকে সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা খুলে দেয়ার অনুরোধ করেছি।

চলতি বছরের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভার্চুয়ালি বৈঠক করবেন বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত হত্যা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আলোচনা হলেও চলতি বছরে সীমান্ত হত্যা বেড়ে যাওয়ায় ইতিমধ্যে ভারতকে উদ্বেগের কথা জানিয়েছে ঢাকা। এ নিয়ে সম্প্রতি ঢাকায় বিজিবি-বিএসএফ বৈঠকও করেছে।

আজকের বৈঠকে ভারত সীমান্ত হত্যা বন্ধে পুরোপুরি একমত হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সোনালী অধ্যায়ের মধ্যে সীমান্ত হত্যা অগ্রহণযোগ্য। যেখানে বেশি হত্যাকাণ্ড হয় সেখানে উভয় দেশের সীমান্ত বাহিনীর যৌথ টহলের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

সীমান্ত হত্যা নিয়ে বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন। এই ইস্যুতে ভারতও একই প্রকার মনোভাব প্রকাশ করেছে।

আমারসংবাদ/এআই