Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪,

আন্দোলরত শিক্ষার্থীকে মারধর, জাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

সাব্বির আহমেদ, জাবি

সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৯, ০১:০৭ পিএম


আন্দোলরত শিক্ষার্থীকে মারধর, জাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) চলমান ইস্যুতে আন্দোলরত এক শিক্ষার্থীকে তুচ্ছ ঘটনার জেরে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে।

শনিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে শহীদ রফিক জব্বার হল সংলগ্ন খাবার দোকানের সামনে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল করেছে কয়েকজন শিক্ষকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন।

ঘটনায় অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম অভিষেক মন্ডল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের (৪১ ব্যাচ) ও শহীদ রফিক জব্বার হলের আবাসিক ছাত্র। একই সাথে তিনি শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম মোঃ নজরুল ইসলাম সাইমুম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ বিভাগের (৪৪ ব্যাচ) ও আ ফ ম কামাল উদ্দিন হলের আবাসিক ছাত্র।

একই সাথে তিনি জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক ও ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে চলমান আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়ে বিচার দাবি করেছেন।

প্রত্যেক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ভুক্তভোগী সাইমুম শহীদ রফিক জব্বার হলের সামনে খাবারে দোকানে নাস্তা করতে যান। এ সময় পাশের সিটে বসা ছিলেন অভিষেক মন্ডল। নাস্তারত অবস্থায় সাইমুমের মুঠোফোন একটি কল আসে। সে কলটি রিসিভ করে কথা বলতে থাকলে অভিষেক মন্ডল ধমক দিয়ে তাকে আস্তে কথা বলতে বলেন ও সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। পরে সাইমুম স্থান ত্যাগে অস্বীকৃতি জানালে তাকে কলার ধরে দোকানের বাহিরে বের করে লাকড়ি দিয়ে মারধর করে অভিষেক মন্ডল।

মারধরের বিষয়ে ভুক্তভোগী সাইমুম ইসলাম বলেন, আমি সকালের নাস্তা করছিলাম। এ সময় একটি জরুরী ফোন রিসিভ করে কথা বলি। কিন্তু পাশে বসে থাকা অভিষেক মন্ডল ভাই আমার ওপর চড়াও হন। পরে কলার ধরে দোকানের বাহিরে এনে লাকড়ি দিয়ে মারধর করেন।

অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা অভিষেক মন্ডল বলেন, আমার বন্ধুকে সাথে নিয়ে দোকানে নাস্তা করতে গিয়েছি। সেখানে অনেক সিট ফাঁকা ছিল কিন্তু সাইমুম গা ঘেঁষে আমাদের পাশে বসে।

এ সময় তার ফোনে কল আসলে সে উচ্চ স্বরে কথা বলতে থাকে। পরে আমি তাকে একটু ধমক দিয়ে কথা বলি। তারপর সে আমার সাথে বেয়াদবী করলে একটু হাতাহাতি হয়। মারামারির কোন ঘটনা ঘটেনি। মারধরের অভিযোগ মিথ্যা।

এ বিষয়ে প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর ফোনে সংযোগ পাওয়া যায় নি।

এমআর