Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪,

‘আমার লাভ লাইফ ইন্টারেস্টিং নয়’

প্রিন্ট সংস্করণ

নভেম্বর ২, ২০১৯, ০৮:৫৮ পিএম


‘আমার লাভ লাইফ ইন্টারেস্টিং নয়’ সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। টালিগঞ্জের পরিচিত অভিনেত্রী। সিরিয়াল, সিনেমার পাশাপাশি মডেলিং, শর্টফিল্ম এবং মিউজিক ভিডিওতে দেখা গেছে তাকে। ছোটবেলা থেকেই নৃত্য করতেন, সফলভাবে থিয়েটারও করেছেন একসময়। অভিনেত্রীর কলকাতার বাসায় তার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেছেন আল কাছির অভিনেত্রী হওয়ার গল্পটা— ছোটবেলায় আমার স্বপ্ন ছিলো শিক্ষিকা হওয়ার। তারপর ইচ্ছা জাগল প্রফেসর হওয়ার, তারপর ড্যান্স টিচার, তারপর ড্রামা নিয়ে পড়ার। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইচ্ছা হতো। হয়তো অভিনয় করতে চেয়েছিলাম তাই নাচের প্রতি আমার একটু ঝোঁক ছিল। রবীন্দ্র নৃত্য করতাম, এক্সপ্রেশন দিতে অনেক ভালো লাগত। পুরোপুরি অভিনেত্রী হয়ে যাব সেটি কখনো ভাবিনি। তবে থিয়েটার অভিনয় করব ভেবেছিলাম। এভাবেই অভিনয়ে চলে আসা। আসলে কখন কী হবে সেটা ডিপেন্ড করে পরিস্থিতির উপর। মূল চরিত্রে কবে দেখা যাবে? এখন যে সিনেমাগুলো করছি- সেগুলোতে আমি মূল চরিত্রেই অভিনয় করেছি। ‘টোটাল মাস্তি’ সিনেমায় দুটি মেয়েকে নিয়ে গল্প এগিয়ে যায়। একজন শিলাজিতের বউ আর অন্যজন গার্লফ্রেন্ড। গার্লফ্রেন্ডের চরিত্রটি আমি করেছি। ‘তিন কন্যা’ সিনেমাতেও আলাদা তিনটি মেয়ের গল্প। তাদের মধ্যে আমি একটি মেয়ের চরিত্রে আছি। ‘চাতক’ সিনেমার শুটিং পূজার আগে শেষ করেছি। এ সিনেমাতেও লিড কাস্টে ছিলাম আমি। এ ছাড়া জি ফাইভের ওয়েব সিরিজেও মূল চরিত্রে দেখা যাবে আমাকে। ‘তিন কন্যা’ ছবিটি নিয়ে বলুন- এতে আমাকে কাজের মেয়ের চরিত্রে দেখা যাবে। ক্যানিং থেকে যেসব মেয়েরা কলকাতায় কাজ করতে আসে সেরকম। সুন্দর দেখতে, চটপটে, কথা বলে খুব ভালো। তার চোখ থেকে উচ্চবিত্ত সমাজকে দেখার গল্পই এ সিনেমায়। তিনটি মেয়ের একদিনের গল্প উঠে এসেছে পর্দায়। আমার চরিত্রের নাম রত্না। আপনারা রত্নার একদিন দেখতে পাবেন এ সিনেমায়। আপাতত চলচ্চিত্র উৎসবগুলোতে যাচ্ছে ‘তিন কন্যা’। অনলাইন প্লাটফর্মেও আগে আসতে পারে এটি। ফেস্টিভ্যাল ঘুরে আসুক তারপর মুক্তি ব্যাপারে পরিকল্পনা করবেন পরিচালক। শোনা যায়, আপনি নাকি খুব বোল্ড? হাহাহা। বোল্ড তো আমি জীবনে একটা শুটই করেছিলাম। তারপর তো আর করেনি। পূজার আগে তো শাড়ি, সেলোয়ার এসব নিয়ে শুট করেছি। ব্যাপারটা হলো- একটু খোলামেলা শুট যদি কেনো নায়িকা করেন তাহলে সেটাই মানুষ মনে রাখে বেশি দিন। আমার ক্ষেত্রে হয়তো সেটি হয়েছে। ক্লিভেজ দেখাতে আপনার আপত্তি নেই কেন? কোনো মানুষের কোনো এসেট যদি সুন্দর থাকে তাহলে তার সেটি দেখাতে আপত্তি কোথায়! কাস্টিং কাউচের মুখে পড়েছিলেন? এই মুহূর্তে আমাকে কেউ কাস্টিং কাউচের জন্য বলে না। অভিনয়ের ক্ষেত্রে আজ পর্যন্ত সত্যিই কেউ বলেনি। প্রথম দিকে যখন আমি মডেলিং করতাম তখন এ রকম প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু সেটি পাত্তা না দিলেই হয়। আমি মনে করি এটি পুরোপুরি একজন মেয়ের ওপর নির্ভর করে। কাস্টিং কাউচের ফলে যেসব মেয়েরা খুব তাড়াতাড়ি ওপরে উঠে তারা আবার খুব তাড়াতাড়ি নেমেও যায়। কারণ ট্যালেন্টটা হয়তো তাদের মধ্যে কমতি থেকে থাকে। কেউ যদি সময় নিয়ে ওপরে যায়, তাকে কেউ সহজে ফেলতে পারবে না। এটা আমি বিশ্বাস করি। লাভ লাইফ নিয়ে বলুন- আমার লাভ লাইফ ভীষণ ইন্টারেস্টিং নয়। কারণ আমি ভীষণ কাজ ওরিয়েন্টেড মানুষ, আমার লাইফে প্রেমটা খুব বেশি ইমপোর্টেন্ট পায় না। তাই আমার এখন প্রেম চলছে না। যারা বলছেন, আমার প্রেম চলছে তারা গুজব রটাচ্ছেন আমাকে নিয়ে। টালিউডের কোন পরিচালকের সঙ্গে কফি খেতে চান? হাহাহা। এটি খুব ক্রিটিক্যাল প্রশ্ন। কফি তো খেতে চাওয়াই যায় যেকোনো মানুষের সঙ্গে। কিন্তু হ্যাঁ, কফি খাওয়া মানে এটা না যে তার প্রতি ইন্টারেস্টেড। নিশ্চিত মানুষের প্রতি মানুষের ভালোলাগা থাকে তার ট্যালেন্টের জন্য, হয়তো সে সমবয়সি হলে, বন্ধুর মতো হলে তার সঙ্গে কফি খাওয়াই যায়। এই মুহূর্তে আছে নিশ্চয় একজন ডিরেক্টর যার সঙ্গে আমি কফি খেতে চাই। সে খুব ভালো কাজ করছে, নতুন প্রজন্মের ডিরেক্টর। হাহাহা, এর বেশি কিছু বলব না। আমার ইচ্ছা আছে ওভার কফি তার এক্সপেরিয়েন্স জানব। বাংলাদেশের দর্শকের উদ্দেশে বলুন— ‘চিরসাথী’ ধারাবাহিক নাটকে আমি বাংলাদেশের ভাষায় কথা বলেছিলাম। আমি কিন্তু বাঙাল, বরিশালের বাঙাল। বাংলাদেশ আমার খুব প্রিয় জায়গা। তিনবার গিয়েছি, দুইবার শো করতে আর একবার শুটিং করতে। বাংলাদেশের সব দর্শকের একটি কথায় বলব- আপনাদের থেকে আমি অনেক ভালোবাসা পাই। যেভাবে আমাকে ভালোবাসা দিয়েছেন তেমন ভাবেই সবসময় আমাকে ভালোবাসবেন। আমাকে সার্পোট করে যাবেন, তাহলে আরো ভালো ভালো কাজ আপনাদের উপহার দিতে পারব। খুব শিগগিরই বাংলাদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এসটিএমএ