Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪,

৪৪ বছরেও জানা যায়নি ৪ খুনির সঠিক অবস্থান

প্রিন্ট সংস্করণ॥বিশেষ প্রতিবেদক

আগস্ট ১৪, ২০১৯, ০৯:৪১ পিএম


৪৪ বছরেও জানা যায়নি ৪ খুনির সঠিক অবস্থান

১৫ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসের ভয়ঙ্কর কালো দিন। ১৯৭৫ সালের এ দিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। দীর্ঘ ৪৪ বছর পেরিয়ে গেলেও বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছয় খুনির সঠিক অবস্থান নিশ্চিত হতে পারেনি সরকারও। যদি সরকারের পক্ষ থেকে ওই খুনিদের ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ’

৭৫ এর ১৫ আগস্ট নরপিশাচরূপী খুনিরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে ঘৃণ্য ইনডেমনিটি আইন জারি করে। ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর খন্দকার মোস্তাক বিচারের হাত থেকে খুনিদের রক্ষা করতে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করেন। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালে ইনডেমনিটিকে আইন হিসেবে অনুমোদন করেন।

যার কারণে দীর্ঘ ২১ বছর বাঙালি জাতি বিচারহীনতার কলঙ্কের বোঝা বহন করতে বাধ্য হয়। ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত সরকার বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের উদ্যোগ গ্রহণ করে। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার এফআইআর হয় এবং এর বিচার সম্পূর্ণভাবে শেষ হয় ২০০৯ সালে। হত্যাকাণ্ডের ২৩ বছর পরে ১৯৯৮ সালে নিম্ন আদালতের রায়ে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

২০০৯ সালে উচ্চ আদালত ১২ কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২০১০ সালে ঘাতকদের আংশিক ফাঁসির রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করে।

ফাঁসি কার্যকর হওয়া খুনিরা হলো— কর্নেল (অব.) সৈয়দ ফারুক রহমান, কর্নেল (অব.) সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, লে. কর্নেল (অব.) মহিউদ্দিন আহমদ (ল্যান্সার), মেজর (অব.) এ কে বজলুল হুদা এবং মেজর (অব.) এ কে এম মহিউদ্দিন (আর্টিলারি)। এ ছাড়া পলাতক অবস্থায় খুনিদের একজন আবদুল আজিজ পাশা ২০০১ সালের ২ জুন জিম্বাবোয়েতে মারা যান পুলিশ সূত্র জানিয়েছেন।

এর বাইরে বিদেশে পালিয়ে থাকায় ফাঁসি কার্যকর করা যায়নি পলাতক ছয় খুনির। পলাতক খুনিরা হলো— লে. কর্নেল (বরখাস্ত) খন্দকার আবদুর রশিদ, মেজর (বরখাস্ত) শরিফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল (অব.) এ এম রাশেদ চৌধুরী, মেজর (অব.) এসএইচএমবি নূর চৌধুরী, ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদ ও রিসালদার মোসলেম উদ্দিন খান। ২০০৯ সালে ইন্টারপোলের মাধ্যমে খুনিদের ফেরাতে রেড এলার্ড জারি করা আছে। এদের মধ্যে নূর চৌধুরী কানাডায় ও রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।

পলাতক বাকি খুনিদের অবস্থানের সঠিক তথ্য এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি সরকার। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ক্যানাডা, পাকিস্তান, লিবিয়াসহ আফ্রিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তারা অবস্থান করছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে চারজনের অবস্থান নিশ্চিত করতে পারেনি আইন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সূত্র মতে, বঙ্গবন্ধু হত্যার আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরীকে ১৯৭৬ সালে বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূত করা হয়। এরপর আলজিরিয়া ও হংকংয়ে বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯৬ সালে তাকে দেশে ফেরত আসার নির্দেশ দেয়া হলে তিনি কানাডায় পালিয়ে যান। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে তাকে দেশে ফেরার নির্দেশ দিলে পালিয়ে যায় কানাডায়।

সেই থেকে উত্তর আমেরিকার দেশটিতেই বাস করছেন নূর চৌধুরী। তিনি দেশটিতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন, কিন্তু তা খারিজ করে দিয়েছে আদালত। তবে কানাডাতে শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান না থাকায় তাকে ফিরিয়ে দিতে বারবারই অনাগ্রহ দেখায় দেশটি।

২০১৮ সালের জুন মাসে কানাডা সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সময়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে কথা বলেছেন শেখ হাসিনা। এ সময় ট্রুডো তার দিক থেকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। কিন্তু মৃত্যুদণ্ডাদেশ থাকায় আলোচনায় সীমাবদ্ধ রয়েছে বিষয়টি। আর এ কারণে আইনি জটিলতাতেই এখনো আটকে আছে নূর হোসেনের ভাগ্য।

২০০৪ সালে নূর চৌধুরী কানাডার অভিবাসন কোর্ট তার রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা প্রত্যাখ্যান করেন এবং তখন কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষ তার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাংলাদেশের দূতাবাসের কাছে হস্তান্তর করার সময়ে তাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে তাদের আগ্রহের কথা জানায়। ওই সময়ের বাংলাদেশ সরকারের অনাগ্রহের কারণে তাকে ফেরত আনা সম্ভব হয়নি।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই নূর চৌধুরী কানাডার অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে একটি প্রি-রিমোভাল রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট দরখাস্ত করে জানায় তাকে যদি ওই দেশ থেকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়, তবে তাকে ফাঁসি দেয়া হবে। গত ১০ বছর কানাডার সরকার এই দরখাস্তটি গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান না করে ঝুলিয়ে রেখেছে ।

২০১৮ এর জুন মাসে কানাডার ফেডারেল কোর্টে বাংলাদেশ এ বিষয়ে একটি রিট অব ম্যানডামাস দাখিল করেছে এবং কোর্টের কাছে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত চেয়েছে। কোর্টের কাছ থেকে অবশ্য পালনীয় নির্দেশনা চেয়ে এই রিট অব ম্যানডামাস দাখিল করা হয়। চলতি বছরের ২৫ মার্চে বাংলাদেশের করা মামলার শুনানি হয়েছে। তবে শুনানি শেষে বিচারক তার সিদ্ধান্ত জানাননি।

চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে বিচারক সময় চেয়েছেন।গত ২৭ জুন ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে কানাডার রাষ্ট্রদূত বেনোয়া প্রিফনটেইন বলেন, ফেরত পাঠানো হলে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে এমন ব্যক্তিকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে কানাডা ঐতিহাসিকভাবে অত্যন্ত নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করে। তিনি বলেন, কানাডিয়ানদের জন্য মৌলিক বিষয় হচ্ছে যাকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে তার কি মৃত্যুদণ্ড হবে, কারণ আমরা নিজেরাই বিষয়টির বিরোধিতা করে থাকি।

প্রিফনটেইন আরও বলেন, বিষয়টি এখন বিচারাধীন আছে এবং কানাডার অনাগ্রহের জায়গা ব্যতীত অন্য কোনো কিছু সম্পর্কে মন্তব্য করা আমার জন্য ঠিক হবে না। আরেক খুনি রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন।

নানা উদ্যোগ নিলেও দেশটিতে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়া এই খুনিকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। বারবার কূটনৈতিক কথা চালাচালি হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে শুধু আশ্বাস মিলেছে, রেজাল্ট হয়নি।

রাশেদ চৌধুরী ১৯৭৬ সালে জেদ্দায় কূটনীতিক পদে যোগদান করেন। এরপর নাইরোবি, টোকিও, কুয়ালালামপুর ও ব্রাসিলিয়াতে বাংলাদেশ মিশনে কাজ করেছেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার সময়ে তিনি ব্রাসিলিয়ায় কর্মরত ছিলেন।

ওই সময় তাকে ঢাকায় ফেরত আসার নির্দেশ দেয়া হয়। পরে ব্রাসিলিয়ায় ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ইফতেখারুল করিম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠিয়ে জানান, রাশেদ চৌধুরী সাওপাউলো থেকে সান ফ্রান্সিসকো চলে গেছেন। ওই সময় থেকে রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। এরপর শিকাগো, সিয়াটল, আটলান্টা ও ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন শহরে বসবাস করে আসছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

২০০৭ সালের জুনে বঙ্গবন্ধুর আরেক খুনি এ কে এম মহিউদ্দিনকে আশ্রয় দেয়ার আবেদন যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাখ্যান করায় তাকে দেশে আনা সম্ভব হয়েছিল। এরপর মহিউদ্দিন আহমেদকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় দেশে চূড়ান্ত দণ্ড ভোগ করতে হয়।

রাশেদ চৌধুরীকেও একই আইনি লড়াইয়ে দেশে আনার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে সরকার। ২০১৪ সালে দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ তাকে ফেরত চায়। এরপরের বছর ২০১৫ সালে বাংলাদেশ স্কাডেন আইনি প্রতিষ্ঠানকে তাকে ফেরত আনার জন্য নিয়োগ দেয়।

বিখ্যাত আইনজীবী এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ভূতপূর্ব লিগ্যাল কাউন্সিলর গ্রেগরি ক্রেইগ তাকে ফেরত আনার জন্য স্টেট ডিপার্টমেন্ট, জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

রাশেদ চৌধুরীর ফেরত দেয়ার জন্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিকে এক বৈঠকে ২০১৫ সালে অনুরোধ জানান। ২০১৭ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পরে এপ্রিল মাসে পররাষ্ট্র সচিব হোয়াইট হাউসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতা আসার পর একাধিকবার বলেছেন— অপরাধ করে যারা আমেরিকায় আশ্রয় নিয়েছে তাদের সবাইকে নিজেদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। ট্রাম্পের এ ধরনের মনোভাব প্রকাশ পাবার পর নতুন আশায় আইনি লড়াই অব্যাহত রেখেছে সরকার।
পলাতক খুনিদের আরেকজন মোসলেম উদ্দিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে।

তিনি যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন, তবে তা প্রত্যাখ্যান হয়েছে। এর আগে তার ভারত ও জার্মানিতে অবস্থানের তথ্যও ছিলো গোয়েন্দাদের কাছে। রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন জার্মানিতে রয়েছে বলেও একটি সূত্র দাবি করছে।

যার প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে জার্মান সরকারকে একটি নোট ভারবাল পাঠায় বাংলাদেশ। জার্মানিতে বাংলাদেশ দূতাবাস এ বিষয়ে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। তবে তার সঠিক অবস্থান নিশ্চিত হতে পারেনি বাংলাদেশ সরকার।

বাকি তিন খুনি শরিফুল হক ডালিম, আবদুর রশিদ ও আবদুল মাজেদের অবস্থানের ব্যাপারে কোনো নিশ্চিত তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন সূত্র জানায়, কেনিয়া ও জিম্বাবুয়েতে ব্যবসা আছে ডালিমের। লিবিয়া, সেনেগালসহ বিভিন্ন দেশে যাতায়াত করলেও তিনি স্থায়ীভাবেই দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করেন। স্পেনেও তাকে দেখা গেছে, এমন তথ্য পাওয়ার পর বাংলাদেশ দূতাবাসের থেকে স্প্যানিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

শরীফুল হক ডালিম প্রথম কূটনীতিক হিসেবে কাজ শুরু করেন ১৯৭৬ সালে বেইজিংয়ে। ১৯৮২ সালে তাকে হংকংয়ে বদলি করা হয় এবং ১৯৮৮ সালে কেনিয়ায় রাষ্ট্রদূত হিসাবে পদায়ন করা হয়। ১৯৯৫ সালে বিএনপি সরকার তাকে ফোর্স রিটায়ারমেন্টে পাঠায়।

খন্দকার আব্দুর রশীদ পাকিস্তান বা লিবিয়ায় রয়েছেন। পাকিস্তানে দেখা গেছে এমন তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ বিষয়ে জানতে চেয়ে পাকিস্তান সরকারকে একটি নোট ভারবাল দেয়া হলেও কোনো উত্তর মেলেনি।

আরেকটি সূত্র বলছে— লিবিয়ার বেনগাজিতে গাদ্দাফি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ব্যবসা ছিলো খুনি রশিদের। কিন্তু গাদ্দাফির পতনের পর লিবিয়া অবস্থানের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। আরেক খুনি আব্দুল মাজেদের কোনো তথ্য নেই সরকারি কোনো সংস্থার কাছে।

আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, পলাতক খুনিদের খোঁজে ইন্টারপোলে রেড নোটিস জারি করা আছে। এর বাইরেও সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশ দূতাবাসগুলো কাজ করে যাচ্ছে।

জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (রাজনৈতিক) ফেরদৌসী আখতার জানান, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফেরানোর বিষয়টি অনগোয়িং প্রসেস। সর্বোচ্চ প্রায়রিটি কাজ করছি।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং আমাদের মন্ত্রণালয় যখন যেভাবে নির্দেশনা দিচ্ছে, আমরা সেভাবেই কাজ করছি। ইন্টারপোলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে। আমরা সব ধরনের চেস্টা অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাবো।

নূর চৌধুরী ও রাশেদ চৌধুরীর অবস্থান ব্যাখ্যা করে গতকাল সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় আমরা আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। ওখানে আইনি পথে সময় লাগে, সে সময়টা লাগবে।

কিন্তু আমরা বসে নেই পাশাপাশি কানাডীয় সরকারের আমাদের বক্তব্য তুলে ধরছি। আমেরিকায়ও আইনি পদক্ষেপের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছি।