Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ১১ মে, ২০২৪,

‘সুখী পরিবারে’ নেই ফোনকল

মাহমুদুল হাসান

আগস্ট ১০, ২০২০, ০৪:৪৫ এএম


‘সুখী পরিবারে’ নেই ফোনকল

প্রযুক্তিনির্ভর হচ্ছে মানবজীবন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পর আরও বদলে গেছে বিশ্ব। পরিবর্তনের এই পালের হাওয়া দেশেও লেগেছে। আলোহীন প্রদ্বীপের মতো টিম টিম করে জ্বলতে থাকা টেলিমেডিসিন সেবা এখন বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়।

দেশের মানুষও সেদিকেই ঝুঁকছে। দুই বছর আগে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরকে টেলিমেডিসিন সেবার আওতায় আনার উদ্যোগ নেয় সরকার।

২০১৮ সালে সুখী পরিবার (১৬৭৬৭) নামে কল সেন্টারটি চালু করা হয়। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৭ জুলাই চালু হওয়া কল সেন্টারটি এমন একটি তথ্যকেন্দ্র, যেখান থেকে প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা ছয়জন চিকিৎসকের কাছ থেকে পরিবার পরিকল্পনা, মা-শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

এখান থেকে সাধারণ জনগণ গর্ভবর্তী মায়ের যত্ন ও তাদের প্রসব, প্রসবকালীন ও প্রসবোত্তর সেবা, জরুরি প্রসূতী সেবা ও অ্যাম্বুলেন্স বিষয়ে তথ্য ও পরামর্শ দেয়া হয়।  

বয়োসন্ধিকালীন প্রজনন স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা স্বল্পমেয়াদি, দীর্ঘমেয়াদি ও স্থায়ী পদ্ধতি সম্পর্কে উৎসাহিত করার পাশাপাশি এর সুবিধা-অসুবিধা ও ফলোআপ বিষয়েও বিভিন্ন তথ্য ও সেবা প্রাপ্তির স্থানসমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য কলসেন্টার থেকে দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এই সেবা কার্যক্রমের স্লোগান ধরা হয় ‘সুন্দর কিছু হোক আলাপে’।

কিশোর-কিশোরীদের বয়োসন্ধিকালীন নানা সমস্যার সমাধান দিতে চিকিৎসকরা অপেক্ষমান থাকলেও কিশোর-কিশোরীদের তেমন সাড়া নেই। অন্যান্য বয়সি মানুষের ফোনকল বাড়লেও বাড়েনি কিশোর-কিশোরীদের।

গত মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত মাত্র একশ কিশোর-কিশোরী এই হটলাইনে ফোন করেছিল। অথচ দেশের এক-তৃতীয়াশ কিশোর-যুবক। তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা সবার আগে ভাবা দরকার।

জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, সরকারের এই উদ্যোগের আরো প্রচার-প্রচারণা ও চিকিৎসক সংখ্যা বাড়ানো দরকার। সীমিত জনবল ও প্রচারণাহীন এই হটলাইনের উদ্দেশ্য সফল হবে না।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আইএমইউনিট সূত্রে জানা গেছে, করোনাকালীন সময়ে সুখী হটলাইনে ফোনকলের সংখ্যা বেড়েছে। চলতি বছরের শুরু থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত ২০ হাজার ৯৮২টি। মার্চ থেকে শুধু মা ও শিশু স্বাস্থ্যসুরক্ষার বিষয়ে পরামর্শ নিতে ফোন এসেছে দুই হাজার ৯১৯টি।

কিশোর ও কিশোরীদের মাঝে সেবাটি সাড়া ফেলতে পারেনি। গেলো বছর ৩৬ হাজার ৬৮১টি ফোনকল এসেছিল। ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৬০ হাজার ৭৯৮টি ফোনকল এসেছে। এই টেলিসেবা প্রদানের সঙ্গে ছয়জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দায়িত্ব পালন করছেন।

সুখী পরিবার হটলাইনের সুপারভাইজার সিরাজুম মুনিরা আমার সংবাদকে বলেন, ‘করোনাকালীন সময়ে ফোনকলের সংখ্যা বেড়েছে। তবে কিশোর ও কিশোরীদের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের হার তুলনামূলকভাবে কম। তারা খুব বেশি ফোন করে না। গত মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত মাত্র একশ জন কিশোর-কিশোরী এ সেবা গ্রহণ করেছে।

আমারসংবাদ/এআই