Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪,

রাজারহাটে বন্যায় দুর্ভোগে ৮ হাজার মানুষ

এনামুল হক সরকার, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম)

জুলাই ১৭, ২০১৯, ০২:৫৬ পিএম


রাজারহাটে বন্যায় দুর্ভোগে ৮ হাজার মানুষ

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি কমে যাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। নতুন করে নদী ভাঙনের আশংকা করছে নদীর তীরবর্তী মানুষজন। বসত-বাড়ি, রাস্তা-ঘাটের পানি কমে যাওয়ায় উপজেলার প্রায় ৮ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

বুধবার (১৭ জুলাই) বন্যাকবলিত এলাকা তিস্তা নদীর তীরবর্তী আনন্দ বাজার,শিয়াল খাওয়ার চর, চতুরা, রামহরি, তৈয়বখাঁ ও চর তৈয়বখাঁ, বিদ্যানন্দ ও চর বিদ্যানন্দ, গাবুর হেলান, চর খিতাব খাঁ, চর গতিয়াসাম এবং ধরলা নদীর তীরবর্তী ছিনাই ইউনিয়নের জয়কুমর, ছাট কালুয়া, নামা-জয়কুমর ও কিং ছিনাই ঘুরে দেখা গেছে, ওইসব চরাঞ্চলসহ নদী তীরবর্তী বাড়ি-ঘর ও রাস্তা ঘাট থেকে পানি কমে যাওয়া শুরু করেছে।

পানি কমে যাওয়ার সাথে সাথে নিরাপদ আশ্রয় থেকে মানুষ আবার ফিরে আসছে তাদের গৃহে। তাই রোগব্যধি শুরু হওয়ার আশংকা করছে বন্যাকবলিত পরিবারগুলো। এখনো ওইসব পরিবারের মানুষজনের মাঝে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও গবাদি পশুর গো-খাদ্যের তীব্র সংকট রয়েছে।

এ ব্যাপারে বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তাইজুল ইসলাম বলেন, পানিবন্দীসহ নদী তীরবর্তী মানুষের মাঝে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে। তথাপি নদী তীরবর্তী বসবাসকারী অসহায় পরিবারগুলো নদী ভাঙনের ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটছে।

কয়েকদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চলে পানি জমে থাকায় ফসলি জমির ভাদাই ধান, আমন বীজতলা, পাট, ভুট্টা, শাক-সবজি, মরিচসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বেশ কয়েকটি মাছের খামারসহ প্রায় ৩ শতাধিক ছোট-বড় পুকুর ডুবে যাওয়ায় কোটি টাকার মাছ জলে ভেসে গেছে।

ফলে সবজি বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলছে। নিম্ন আয়ের মানুষরা বিপাকে পড়েছে। আজ তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয় বলে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান।

রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহ. রাশেদুল হক প্রধান বলেন, পানিবন্দী পরিবারগুলোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে সরকারিভাবে শুকনো খাবার ও খাদ্যশস্য বরাদ্দ এসেছে। সেগুলো পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া স্বাস্থ্যঝুঁকির জন্য মেডিকেল টিম কাজ করছে।

এমআর