স্পোর্টস ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯, ০৪:১৩ এএম
সম্প্রতি বিবিসির কাছে রশিদ খান সাকিবের বিষয়ে বলেছিলেন, সাকিবই বাংলাদেশ দলে তার সবচেয়ে কাছের বন্ধু। তবে অন্যান্য ক্রিকেটারদের সঙ্গেও সম্পর্ক খুব ভালো।
সবার সাথেই ভালো সম্পর্ক, তবে সাকিব সবচেয়ে কাছের। হায়দ্রাবাদে আমরা দুই বছর খেলেছি। অথচ টি-টোয়েন্টি ত্রিদেশীয় সিরিজে সেই সাকিবের সঙ্গেই মাঠে ঝামেলা হয় তার।
বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংসের পঞ্চম ওভারের কথা। বোলিংয়ে ছিলেন, আফগান ফিঙ্গার স্পিনার মুজিব উর রহমান। ক্রিজের দুই প্রান্তে ব্যাট হাতে ছিলেন সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
ওভারের প্রথম বল শেষে দেখা গেল মিড অন থেকে দৌঁড়ে এসে আফগান দলপতি রশিদ খান আম্পায়ারদের কাছে কিছু একটা নিয়ে অভিযোগ করছেন। আম্পায়াররা যদিও তাতে কর্ণপাত করেননি।
কিন্তু আসল ঝামেলাটা হলো তার পরে। রশিদ খানের অভিযোগের পর সাকিব তাকে কি যেন বললেন। তাতে দুজনের মধ্যে বাদানুবাদ বেধে যায়। কিছুটা সময় কথার লড়াই চলতে থাকে।
দুজনের এই বাদানুবাদে দিন শেষে ক্ষতিটা হয়েছে কিন্তু সাকিবেরই। বাকযুদ্ধের ঠিক পরের বলেই মুজিব উর রহমানকে উঠিয়ে মারলে মিড অনে সেই রশিদ খানের হাতে ধরা পড়েন সাকিব। ব্যক্তিগত ১৫ রানে থেমে যায় তার ইনিংস।
মাঠের এই দৃশ্যটি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কৌতুহলের অন্ত ছিল না। তাই ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এলে সাকিবের কাছে সেই প্রশ্ন করা হয়। যদিও উত্তরটি কৌশলে তিনি এড়িয়ে গেলেন। ‘তেমন কিছুই হয়নি। জানি না কি বলব?’
তবে সাকিব না বললেও বাদানুবাদের কারণ জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই সময়ে গ্যালারিতে অবস্থানরত কিছু দর্শক মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালিয়ে রেখেছিলেন। যা রশিদ খানের পছন্দ হয়নি।
সেই অভিযোগই তিনি আম্পায়ারদের কাছে জানাতে এসেছিলেন। ফিল্ড আম্পায়াররা তাকে বলেছেন, এখানে আমাদের করার কিছুই নেই।
রশিদের মুখে এমন অভিযোগ শুনে সাকিব বলেছিলেন, খেলার মাঠে এই দৃশ্য নতুন নাকি? কথাটি রশিদ খানের পছন্দ হয়নি বলেই বাদানুবাদ বেঁধে যায়।
এমএআই