Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪,

প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে যা বললেন গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০, ০১:৫২ পিএম


প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে যা বললেন গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন জানিয়েছেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন স্কেল উন্নীত করতে মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার বৃত্তির ফল প্রকাশ উপলক্ষে মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল উন্নীত করার কাজ অব্যাহত আছে। পাশাপাশি শিক্ষকদের অভ্যন্তরীণ ও বিদেশ প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কার্যকম অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া সহকারী শিক্ষকসহ প্রাক-প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের কাজও চলমান রয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

এদিন গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বৃত্তির ফল প্রকাশ করেন। এতে মোট ৮২ হাজার ৪২২ শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে। ২০১৯ সালের পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনীর ফলাফলের ভিত্তিতে এ বৃত্তির ফল তৈরি করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

জাকির হোসেন বলেন, এ বছর পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে ৮২ হাজার ৪২২ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মেধা কোটায় (ট্যালেন্টপুল) বৃত্তি পেয়েছে ৩৩ হাজার শিক্ষার্থী। সাধারণ কোটায় বৃত্তি পেয়েছে সাড়ে ৪৯ হাজার। মেধা কোটায় বৃত্তিপ্রাপ্তরা ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতি মাসে ৩০০ টাকা এবং আর সাধারণ কোটায় ২২৫ টাকা করে বৃত্তির অর্থ পাবে।

তিনি আরও বলেন, উপজেলা/থানার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যার অনুপাতে উপজেলা/থানা কোটা নির্ধারণ করে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি বন্টন করা হয়। সাধারন বৃত্তি ইউনিয়ন ও পৌরসভাওয়ার্ড ভিত্তিক বিতরন করা হয়।

এবার মােট ৮ হাজার ২৪ টি ইউনিয়ন/ পৌরসভার ওয়ার্ডে প্রতিটিতে ৬টি (৩ জন ছাত্র ও ৩ জন ছাত্রী ) হিসাবে ৪৮ হাজার ১৪৪ টি। এবং অবশিষ্ট ১৩৫৬ টি বৃত্তি হতে প্রতিটি উপজেলা/থানা হতে আরাে ২টি (১ জন ছাত্র ও ১ জন ছাত্রী) করে ৫১১টি উপজেলা/থানায় ১০২২ টি সাধারণ এবং আরাে অবশিষ্ট ৩৩৪ টি বৃত্তি হতে প্রতিটি জেলা হতে আরাে ৪টি (২ জন ছাত্র ও ২ জন ছাত্রী) করে ৬৪টি জেলায় ২৫৬ টি সাধারণ বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।

গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঝরেপড়া রােধ, শ্রেণি কক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি ও সুষম মেধা বিকাশের লক্ষ্যে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান করা হয়। সকল শিক্ষার্থী এ প্রতিযােগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারে।

পূর্বে বিদ্যালয় থেকে প্রথম সারির কিছু সংখ্যক মেধাবী শিক্ষার্থীর বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের সুযােগ ছিল এবং অবশিষ্ট শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের কোন সুযােগ ছিল না বিধায় তারা বঞ্চিত হতাে। এখন সে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বর্তমানে প্রতিবছর ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান করা হয়।

জাকির হোসেন বলেন, বৃত্তি সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বৃত্তির অর্থের পরিমানও ২০১৫ সন থেকে বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি প্রাপ্তদের মাসে ২০০ টাকা করে দেয়া হলেও ২০১৫ থেকে ৩০০ টাকা এবং সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ১৫০ টাকার পরিবর্তে ২২৫ টাকা করে দেয়া হচ্ছে।

প্রাথমিক বৃত্তির ফলাফল অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট WWW.dpe.gov.lbd -এ এবং স্থানীয়ভাবে বিভাগীয় উপপরিচালকের কার্যালয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় হতে পাওয়া যাবে।

মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। এ ক্ষেত্রে পিইসি পরীক্ষার্থীদের এসএমএস পাঠাতে হবে:- DPEThana/Upazila Code No, Roll Number, Year and Send to 16222

এবতেদায়ি পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে:- EBTThana/Upazila Code Number, Roll Number, Year and Send to 16222

আমারসংবাদ/জেআই