Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪,

সম্মুখসারির যোদ্ধা কোস্টগার্ড

বশির হোসেন খান

জুন ২৬, ২০২০, ০৭:০০ পিএম


সম্মুখসারির যোদ্ধা কোস্টগার্ড

করোনা দুর্যোগে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মানবিক কর্মকাণ্ড মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। স্থাপন করেছে মানবসেবার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। পৃথিবীর এই চরম দুঃসময়ে কোস্টগার্ড সদস্যরা জীবনের মায়া ত্যাগ করে সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

খাদ্যসামগ্রী নিয়ে অসহায়, দুস্থ, কর্মহীন, শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এই বাহিনী নিজেদের মানবিক দায়িত্বে সম্পৃক্ত করে রাখে সবসময়। এটা করতে গিয়ে নিজেরা ঝুঁকিতে পড়লেও পিছপা হননি। প্রতিটি সদস্যই করে যাচ্ছেন মানবিক আচরণ।

এই ধারা অব্যাহত রাখতে চান কোস্টগার্ডের নীতি-নির্ধারকরা। সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন ব্যবস্থাপনা ও জননিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অসহায় মানুষদের খাদ্য সহায়তার হাতও বাড়িয়ে দিয়েছে কোস্টগার্ড। তারা দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। করোনাকালে কোস্টগার্ডের সদস্যদের জনকল্যাণমূলক ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছে সবার কাছে। তারা সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে মাঠে রয়েছেন।

সমুদ্রে জাতীয় স্বার্থ ও মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ, সমুদ্রপথে অবৈধ অভিবাসন রোধ, সমুদ্রদূষণ নিয়ন্ত্রণ, চোরাচালান রোধ, অবৈধ অস্ত্র ও মাদকদ্রব্যের পাচার রোধ, দুর্যোগ পরবর্তী কার্য পরিচালনা করা, সমুদ্রে অনুসন্ধান এবং উদ্ধার অভিযান পরিচালনা, বনজসম্পদ সংরক্ষণ, বাংলাদেশের সমুদ্র এলাকায় নজরদারি, সরকার প্রদত্ত অন্য যেকোনো দায়িত্ব পালন, যুদ্ধকালীন ভূমিকা, যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে সহায়তা করাসহ নানা কাজে মানবিক অবদান রাখছেন বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্যরা।

দেশি-বিদেশি জাহাজ, স্পিডবোট ও পেট্রল বোটের সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়ে কোস্টগার্ড শক্তিশালী বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। কোস্টাল এরিয়ায় চোরাচালান রোধ, অবৈধভাবে মৎস্য আহরণ ও মাদক চোরাচালান বন্ধে সফলভাবে কাজ করছে কোস্টগার্ড।

কোস্টগার্ডের দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পরিবেশ রক্ষার জন্যও কাজ করছেন তারা। এখন কোস্টগার্ডের রয়েছে অফ পেট্রল বোট ও জাহাজসহ বিভিন্ন শ্রেণির বোট। রয়েছে আউট পোস্ট স্টেশন।

গত বছর ১৯শ কোটি টাকার অবৈধ দ্রব্যাদি আটক করেছে এই বাহিনী। বনজসম্পদ রক্ষায় দুই কোটি টাকার বিভিন্ন ধরনের চোরাই মালামাল জব্দ করেছে। উপকূলীয় এলাকায় জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও ইলিশ রক্ষায় কাজ করছে।

বর্তমান করোনাকালীন সময়ে ডিঙ্গি নৌকায় বাংলাদেশ থেকে সাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে মালয়েশিয়াগামী ৪৫০ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে কোস্টগার্ড তাদের ভাসানচরে নিয়ে যায়।

জানা গেছে, জীবন বাজি রেখে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কোস্টগার্ডের ৩৩ জন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ২০ জন সুস্থ হয়ে কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ১৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন এবং তাদের সঙ্গে একত্রে থাকা বা কাজ করা ৩০২ সদস্যকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক সদস্যকে ১৪ দিন করে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। ব্যারাকে একজনের করোনা পজেটিভ এলে সেখানে বসবাসরত সকল সদস্যকেই কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া করোনায় আক্রান্ত সদস্যদের বিশেষ সেবা দেয়া হচ্ছে।

এসব কারণে করোনা রোগীর সংখ্যা কম। তবে সদস্য সংকট থাকার পরও নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন তারা। তাদের অনেকে সুস্থ হয়ে আবার করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ফিরেছেন, অনেকেই চিকিৎসাধীন।

অসহায় মানুষের পাশে থাকছেন কোস্টগার্ডের সদস্যরা। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে খুলনা, পটুয়াখালী, বাগেরহাটসহ ৫৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে শরণার্থীদের রাখা হয়। ২৫ হাজারের বেশি মানুষকে খাদ্য সহায়তা করেন তারা।

এছাড়া অসহায় দুস্থ মানুষকে টিনের ঘর নির্মাণ করে দিয়েছে কোস্টগার্ড। পাশাপাশি অসুস্থ হয়ে পড়া রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করে দেন কোস্টগার্ড সদস্যরা।

কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মিডিয়া কর্মকর্তা এম হামিদুল ইসলাম বলেন, আধুনিক ও মানবিক কোস্টগার্ড হিসেবে গড়ে তুলতে সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের কাজ হচ্ছে জনগণের সেবা নিশ্চিত করা। সততার সঙ্গে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।

করোনাকালে এ দেশের মানুষ মানবিক ও কল্যাণমূলক কাজ করেছেন প্রতিটি সদস্য। এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। আমাদের কোনো সদস্যই দায়িত্বে অবহেলা করছেন না। সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেকেই জনগণের সেবক। যেকোনো দুর্যোগে জনগণের পাশে থেকে তা মোকাবিলা করাই আমাদের কাজ। কোস্টগার্ডের যেসব সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদের নিয়মিত চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। কোস্টগার্ডের সদস্যরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন বলেই আক্রান্তের সংখ্যা কম। তবুও প্রতিটি সদস্য জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি মানবিক কাজগুলো করে যাচ্ছে।


কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের জোনাল কমান্ডার রেজাউল হাসান বলেন, মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে আলাদা সুখ খুঁজে পাই। এই কাজ করার মধ্য এই বাহিনীর সদস্যরা শান্তি খুঁজে পায়। অবহেলা নয়। দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছে প্রতিটি সদস্য। এই ধারা অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, করোনা কালীন সময় মুন্সীগঞ্জ, চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ পাগলা, কেরানীগঞ্জ, সদরঘাট এলাকায় নৌ-শ্রমিক, চরঞ্চলের অসহায় দুস্থ চার হাজারের বেশি মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও চরঞ্চলে স্বাস্থ্য সহায়তা, এলাকা ভিত্তিক জীবাণু নাশক স্প্রে, শ্রমিকদের হ্যান্ড গ্লাভস, মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।

সাত পয়েন্টে কোস্টগার্ডের নৌ-টহল : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে লকডাউন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা ও মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে নৌ-টহল জোরদার করেছে কোস্টগার্ড।

গত ১৬ এপ্রিল দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই দুই নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে টহল কার্যক্রম পরিচালনার সময় লকডাউন অমান্য করে যাত্রী পরিবহনের অপরাধে ছয়টি বাল্কহেড ও যাত্রীবাহী ট্রলার আটক করা হয়।

ফেরত পাঠানো হয় যাত্রীদের। এসময় নৌপথে নৌযান চলাচল না করতে হ্যান্ড মাইকে নৌযান চালক ও সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হয়। সরকারের এ আদেশ ভঙ্গ করলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেয়া হয় কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি কোস্টগার্ড সদস্যদেরও নানা দিকনির্দেশনা দেন কর্মকর্তারা।

কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট হায়াত ইবনে সিদ্দিকী বলেন, ‘নৌপথে লকডাউন নিশ্চিত করতে বেশ কিছুদিন ধরেই টহল অব্যাহত রাখা হয়েছে। রাজধানীর সদরঘাট থেকে চাঁদপুর, মুন্সীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ রুটে ধলেশ্বরী, মেঘনা ও শীতলক্ষ্যার নদীতে সাতটি চেকপয়েন্টে নিয়মিত তল্লাশি করা হচ্ছে। শুধু খাদ্যপণ্যের নৌ-যানগুলো ছাড়া অন্যান্য কোনো ধরনের পণ্য ও যাত্রীবাহী নৌযান যাতে চলাচল করতে না পারে সে জন্য চেকপোস্টগুলোর পাশাপাশি টহলের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে।

কোস্টগার্ডের ত্রাণ সহায়তা : গত ৫ এপ্রিল থেকে কোস্টগার্ড দায়িত্বপূর্ণ উপকূলবর্তী এলাকায় চার হাজার ৩৪৬ জন গরিব, দুস্থ ও জেলে পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী এবং পাঁচ হাজার মাস্ক বিতরণ করা হয়।

পটুয়াখালীর নিদ্রাসকিনা, পাথরঘাটা, রাঙ্গাবালী, নিজামপুরে ৫০০টি মাস্ক, ৮৫২ প্যাকেট ত্রাণ, ইছানগর, আজিমপাড়া, খোয়াজনগর, বদরপুরা এলাকা, বারআউলিয়া, তেলিপাড়া, বড় ইনানী, জারমান পাড়া, শিকদার পাড়া, নুরার ডেইল, বালিয়া খালি, নিদানিয়া এলাকায় এক হাজার ৭০০টি মাস্ক, চট্টগ্রামে ১৩১ প্যাকেট, শাহপুরীতে ২৫০ প্যাকেট, উরিরচরে ২০৫ প্যাকেট, সেন্টমার্টিন্স ১৫৬ প্যাকেটসহ মোট ৭৪২ প্যাকেট ত্রাণ বিতরণ করে।

লক্ষ্মীপুর ১০০, কালিগঞ্জে ১০০, হিজলায় ১০০, চরমানিকায় ১০০, মনপুরায় ১০০ এবং ভোলায় ৩৫০ প্যাকেটসহ সর্বমোট ৮৫০ প্যাকেট ত্রাণ, ৫০০টি মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।

এছাড়াও তমরুদ্দি, আঠারোবেকী, কোরালিয়া, বয়ার চর, ঘাসিয়ার চর, আশা গ্রাম, উলানিয়া, জলিলের ঘাট, সুলতারের ঘাট, বড় জালিয়া, সুজা গ্রাম, শ্যামল গ্রাম, দালালকান্দি, বদরপুর, চর যতিন, বেরিকান্দা, বড় মানিকা দৌলতখান, ভোলা লঞ্চঘাট এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় বিতরণ করা হয়।

মংলা ২৮২ প্যাকেট, রূপসায় ৭০ প্যাকেট, হারবারিয়ায় ২১৫ প্যাকেট, কৈখালীতে ১৫০ প্যাকেট, নলিয়ানে ১৫৮ প্যাকেট, শরণখোলয় ৫০ প্যাকেট, কয়রায় ৭৫ প্যাকেটসহ সর্বমোট এক হাজার প্যাকেট ত্রাণ ৫০০টি মাস্ক মোংলা, বানিয়াসাস্তা, মোড়েলগঞ্জ, সোলামবাড়িয়া, সন্ন্যাসী, জয়মনিরগোল, নন্দবালা, সাইলো, গোলখালী, আংটিহারা, জোড়শিং, দাকোপ, হড্ডা, নতুন বাজার, বটবুনিয়া, কৈখালী, গোলখালী, ভেটখালী, টেংরাখালী এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় বিতরণ করা হয়।

ঢাকা জোনের কোস্টগার্ড সদর দপ্তর, সাপোর্ট ইউনিট ১৭৭, চাঁদপুরে ৪০০ প্যাকেট, হাইমচরে ১০০ প্যাকেট, মাওয়ায় ১০০ প্যাকেট, ভেদরগঞ্জে ৭৫ প্যাকেট, পাগলায় ৫০ প্যাকেটসহ সর্বমোট ৯০২ প্যাকেট ত্রাণসামগ্রী বিভিন্ন বস্তি এলাকা, রাজ রাজেশ্বর, চেয়ারম্যানবাজার এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় সর্বমোট চার হাজার ৩৪৬ প্যাকেট ত্রাণ, পাঁচ হাজার মাস্ক বিতরণ করা হয়। অগ্রযাত্রা ৫০০ প্যাকেট ত্রাণ পটুয়াখালী নিদ্রাসকিনা, পাথরঘাটা, রাঙ্গাবালী, নিজামপুর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিতরণ করে।

পূর্ব জোন তিন হাজার ৫০০ প্যাকেট বিসিজি বেইস চট্টগ্রামে ৭৬০ প্যাকেট, পতেঙ্গায় ৮০ প্যাকেট, সাঙ্গুতে ৩০০ প্যাকেট, কুতুবদিয়ায় ৬০ প্যাকেট, ইনানীতে ৩৫০ প্যাকেট, হিমছড়িতে ৩৫০ প্যাকেট, বাহাড়ছড়ায় ৪০০ প্যাকেট, মহেশখালীতে ২০০ প্যাকেটসহ সর্বমোট তিন হাজার ৫০০ প্যাকেট ত্রাণ ইছানগর, আজিমপাড়া, খোয়াজনগর, বদরপুরা এলাকা, বড় ইনানী, জারমান পাড়া, শিকদার পাড়া, নুরার ডেইল, বালিয়া খালি, নিদানিয়া এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় বিতরণ করা হয়।

দক্ষিণ জোনে দুই হাজার ৫০০ প্যাকেট, হাতিয়ায় ৩৫০ প্যাকেট, কালিগঞ্জে ১৫০ প্যাকেট, হিজলায় ১৫০ প্যাকেট, রামগতিতে ২০০ প্যাকেট, কমলনগরে ৪৩০ প্যাকেট, রাঙ্গাবালীতে ১২৫ প্যাকেট, নিজামপুরে ১২৫ প্যাকেট, নিদ্রাসকিনায় ১২৫ প্যাকেট, পাথরঘাটায় ১২৫, তজুমদ্দিনে ২০০ প্যাকেট, লালমোহনে ১০০ প্যাকেট, মনপুরায় ১৫০ প্যাকেট, চরমানিকায় ১৫০ প্যাকেট, দৌলতখানে ১২০ প্যাকেটসহ সর্বমোট দুই হাজার ৫০০ প্যাকেট ত্রাণ তমরুদ্দি, আঠারোবেকী, কোরালিয়া, বয়ার চর, উলানিয়া, সুলতারের ঘাট, বড় জালিয়া, বড় মানিকা দৌলত খান, ভোলা লঞ্চঘাট এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় বিতরণ করে।

পশ্চিম জোন দুই হাজার ৫০০ প্যাকেট বিসিজি বেইস মংলায় ৬৫০ প্যাকেট, রূপসায় ১৫০ প্যাকেট, হারবারিয়ায় ৩০০ প্যাকেট, কৈখালীতে ৩৫০ প্যাকেট, নলিয়ানে ৩৫০ প্যাকেট, শরণখোলায় ৩৫০ প্যাকেট, কয়রায় ৩৫০ প্যাকেটসহ সর্বমোট দুই হাজার ৫০০ প্যাকেট ত্রাণ মোংলা, বানিয়াসাস্তা, মোড়েলগঞ্জ, সোলামবাড়িয়া, সন্ন্যাসী, জয়মনিরগোল, নন্দবালা, সাইলো, গোলখালী, আংটিহারা, জোড়শিং, দাকোপ, হড্ডা, বটবুনিয়া, কৈখালী, গোলখালী এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় বিতরণ করা হয়।

ঢাকা জোন তিন হাজার প্যাকেট (দুই হাজার ৯৬০ প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে, বাকি ৪০ প্যাকেট সুবিধাজনক সময়ে বিতরণ করা হবে)।

চাঁদপুরে ২০০ প্যাকেট, হাইমচরে ৬০০ প্যাকেট, এখলাসপুরে ৩০০ প্যাকেট, গজারিয়ায় ২৭২ প্যাকেট, মাওয়ায় ৪১০ প্যাকেট, ভেদরগঞ্জে ২০০ প্যাকেট, রায়পুরে ২০০ প্যাকেট, কোস্টগার্ড সদর দপ্তর/সাপোর্ট ইউনিট ৭৭৮ প্যাকেটসহ সর্বমোট দুই হাজার ৯৬০ প্যাকেট ত্রাণসামগ্রী আনিসের বস্তি, লোকমানের বস্তি, চেয়ারম্যানের বস্তি, সমবায় বস্তি, ভাটবলাকি, ষাটনল, কান্দিরপাড়া, ইখলাসপুর, কমল কান্দি, কাটাখালী, বাদামতলী, উত্তর চর আবাবিল, চেয়ারম্যান বাজার এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় বিতরণ করা হয়।

সর্বমোট ১২ হাজার প্যাকেট (১১ হাজার ৯৬০ প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে, বাকি ৪০ প্যাকেট সুবিধাজনক সময়ে বিতরণ করা হবে)।

কোস্টগার্ড চার হাজার ৩৪৬ প্যাকেট চাল, আলু, ডাল, তেল, চিনি, লবণ এবং সাবান, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের ১২ হাজার প্যাকেট চাল, লবণ, তেল, সুজি, ডাল, আটা এবং বিস্কুট বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

আমারসংবাদ/এসটিএম