Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪,

আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনা নেই

আফছার আহমদ রূপক॥প্রিন্ট সংস্করণ

আগস্ট ২, ২০১৭, ০৫:২৬ এএম


আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনা নেই

 আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর অথবা ২০১৯ সালের জানুয়ারিতেই অনুষ্ঠিত হবে- নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ ঘোষণা, বিএনপির পক্ষ থেকে আগাম নির্বাচনের দাবি না থাকা এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্য থেকে এমন ধারণাই পাওয়া যাচ্ছে। তারমানে এটি স্পষ্ট যে চলতি বছর বা আগামী বছরের মাঝামাঝি আগাম নির্বাচনের আর সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। সংবিধান অনুযায়ী সঠিক সময়ে সঠিকপথেই এগোচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনের প্রস্তুতি।

একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটও আগাম নির্বাচন নিয়ে আর মাথা ঘামাতে চাচ্ছে না। লক্ষ করা গেছে বেশ কয়েকমাস ধরেই আগাম নির্বাচনের সুর উবে গেছে বিএনপির মুখ থেকে। বিএনপির অনেক নেতা মনে করছেন আগাম নির্বাচন চাওয়া থেকে সহায়ক সরকারের দাবিতে এগোনোই বেশি প্রয়োজন। আগাম নির্বাচনের বদলে এক বছর পর হলেও সহায়ক সরকারের অধীনে একাদশ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। তাতেই বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেএডএম জাহিদ হোসেন বলেন, আগাম নির্বাচনের কথা আওয়ামী লীগের মুখ থেকেই প্রথম বের হয়েছিল। তারা বলেছিল ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন ছিল নিয়ম রক্ষার। আগাম নির্বাচন হবে। তারপর বিএনপি সেই কথারই বাস্তবায়ন চেয়েছিল মাত্র। কিন্তু আওয়ামী লীগ কথা রাখেনি। এখন তো একাদশ নির্বাচন এসেই গেছে। তাই বিএনপির দাবি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে সম্ভব নয়। এজন্য সহায়ক সরকার দরকার। দলীয় সরকারের অধীনে ভোট নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হবে না। জাহিদ বলেন, প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করে হলেও তা করা সম্ভব। বিএনপি যদি সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা ছাড়তে পারে তাহলে আওয়ামী লীগ পারবে না কেন?

তিনি বলেন, বিএনপি এখন দল গোছাচ্ছে। দল গোছানোর কাজ প্রায় শেষ। তারপর প্রথমে সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেবে এবং এনিয়ে সরকারকে সংলাপের আহ্বান জানাবে। তাতে রাজি না হলে জনগণ জানে কীভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হয়। এদিকে আগাম নির্বাচনে যেমন বিএনপি নেতাদের আগ্রহ কম, তেমনি আওয়ামী লীগ নেতাদের তো একেবারেই মত নেই। তারা বিভিন্ন সমাবেশে বলছেন সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়েই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। তারথেকে সরকার একচুলও নড়বে না।

এদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন তো সংবিধান অনুযায়ীই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একটি সম্ভাব্য তারিখই রোডম্যাপে রেখে দিয়েছে। সে লক্ষ্যে অন্যান্য বিষয়েও রোডম্যাপ অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে। রোডম্যাপ অনুযায়ী গত সোমবার প্রথমধাপ ছিল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সংলাপ। তাতেও আগাম নির্বাচনের কোনো কথা ছিল না। সুশীলরা নির্দিষ্ট সময়ের নির্বাচনের কথাই বলেছেন এবং নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়া, সেনা মোতায়েন ও ‘না’ ভোটের বিধানের পরামর্শ দিয়েছেন